multikulti

সমান সুযোগগুলি: লিঙ্গ এবং যৌনগত বৈষম্য

Equal opportunities (2): Sex and sexual discrimination

লিঙ্গভেদের বৈষম্য

পুরুষ এবং মহিলাদের অধিকার যাতে সমানভাবে বিচার করা হয়, তার জন্য দুইটি আইন আছে।

  • ১৯৭৫ সালের সেক্স ডিসক্রিমিনেশন এ়ক্ট/সমান বেতনের আইন (সংশোধন করা হয়েছে ১৯৪৬ সালে) অনুসারে, চাকুরী, শিক্ষা বাড়ীঘর, জিনিষপত্র অথবা সেবা প্রদানের ব্যপারে এবং এই সম্স্ত জিনিষের বিজ্ঞাপন দেওয়ার ব্যপারে মহিলা এবং পুরুষদের মধ্যে বিভেদ করা বে-আইনী। এছাড়াও বিবাহিত মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে বা অন্যান্য চাকূরীর ব্যপারে, বিভেদ করাও বে-আইনি।
  • ১৯৭০ সালের ইক্যুয়াল পে এ়ক্ট/আইন অনুসারে (সংশোধন করা হয়েছে ১৯৮৪ সালে) মহিলারা যখন পুরুষদের মত একই কাজ করছেন, কাজের মান নির্নয়ের/জব ইভ্যালুয়েশন পরিকল্পনা অনুসারে সমান মানের কাজ বলে নির্ধারন করা হয়েছে অথবা সমান ধরনের কাজ করছেন, তখন তাদের সমান বেতন দিতে হবে। ইউরোপিয়ান আইনেও বলা হয়েছে যে মহিলা এবং পুরুষেরা একই কাজ করার জন্য সমান বেতন পাবেন। এই ব্যপারে আরও জানার জন্য ‘ইক্যুয়াল পে’ তথ্যপত্র দেখুন।

চাকুরীর জন্য আবেদন করা

দি সেক্স ডিসক্রিমেনেশন এ়ক্ট/আইন অনুসারে, যখন নিয়োগকর্তারা কোন নূতন কর্মচারীকে নিযুক্ত করছেন তখন আপনি কোন বিশেষ লিঙ্গের ব্যক্তি বলে, অথবা বিবাহিত বলে, যদি আপনার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরন করেন, তাহলে সেটা বে-আইনি। এই আইন তিনটি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এগুলি হল:

কখন এবং কাকে চাকুরী দেওয়া হবে। এর ভিতর থাকবে জব ডেসক্রিপশন/কাজের বর্ননা, পার্সনস্ স্পেসিফিকেশন/ব্যক্তিগত বৈশিষ্ঠ্যগুলি। (বৈশিষ্ট অভিজ্ঞতা এবং যোগ্যতার বর্নণা যেগুলি এই কাজ করবার জন্য প্রয়োজন হবে।), চাকরীর জন্য আবেদন করার ফর্ম, বাছাই করার পদ্ধতি, ইন্টারভিউ নেওয়া এবং চাকরীর জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিকে নির্বাচিত করা।

চাকরীর শর্তগুলি, যেমন- বেতন, কতদিনের ছুটি অথবা চাকরীর সর্ত।

ইচ্ছা করে আপনার আবেদন পত্র বিচার করা হয়নি।

এই আইন যে সকল ব্যক্তিরা কেবল চুক্তিবদ্ধ/কনট্রাক্ট হিসাবে কাজ করে থাকেন, আংশিক সময়ের বা পার্ট টাইম কর্মীদের এবং পুরা সময়ের বা ফুল টাইম কর্মীদের, তাদের সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

প্রত্যক্ষ লিঙ্গভেদের বৈষম্যের একটা উদাহরন হল আপনি হয় একজন মহিলা অথবা একজন পুরুষ সেই কারনে আপনাকে চাকরী দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হয়নি (যেমন-একজন পুরুষকে সেক্রেটারীর কাজে নেওয়ার কথা বিবেচনা করা হয়নি।)

পরোক্ষ লিঙ্গভেদের বৈষম্যের উদাহরন হলো, কোন উপযুক্ত কারন ছাড়াই বলা হয়েছে যে সেই কাজে আবেদন করার জন্য প্রত্যেক আবেদনকারীর মিলিটারীতে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যেহেতু মিলিটারীতে, মহিলাদের তুলনায় পুরুষরা বেশী যোগ দিয়ে থাকেন, সেই কারনে কোন মহিলার সেই চাকরী পাওয়ার আশা কম।

সেক্স ডিসক্রিমিনেশন আইন অনুসারে যদি চাকরীর জন্য অবিবাহিত ব্যক্তিকে কোন বিবাহিত ব্যক্তির থেকে বেশী পছন্দ করা হয়, তাহলে সেটা বে-আইনি। যদি কোন নিয়োগকর্তা কোন বিবাহিত মহিলাকে চাকরী দিতে অস্বীকার করেন, কারন তিনি মনে করেন যে একজন অবিবাহিত মহিলার থেকে বিবাহিত মহিলার বাচ্চা হবার সম্ভাবনা বেশী। তাহলে সেটা হবে ‘ডাইরেক্ট ম্যারেজ ডিসক্রিমিনেশন/প্রত্যক্ষ বিবাহ বৈষম্য।’

‘ইনডাইরেক্ট মেরেজ ডিসক্রিমিনেশনের/পরোক্ষভাবে বিবাহ বৈষম্যের’ উদাহরন হলো একজন নিয়োগকর্তা বলছেন যে প্রত্যেক ব্যক্তি যারা চাকরীর জন্য দরখাস্ত করছেন, তাদেরকে অবশ্যই একটা নূতন জায়গার অফিসে যোগ দিতে হবে। যদি নিয়োগকর্তা এটা দেখাতে না পারেন যে, নুতন কাজের জায়গায় কাজ আরম্ভ করা অবশ্যই প্রয়োজনীয়, তাহলে সেটা হবে ‘ইনডাইরেক্ট মেরেজ ডিসক্রিমিনেশনের/পরোক্ষভাবে বিবাহ বৈষম্যের’ ।

কখন একজন নিয়োগকর্তাকে বৈষম্যমূলক আচরন করতে অনুমতি দেওয়া হয়।

কতকগুলো ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তারা কেবলমাত্র পুরুষ অথবা কেবলমাত্র মহিলাদের চাকরী দিতে পারেন। এটাকে বলা হয় ‘জেনুইন অকুপেশনাল কোয়ালিফিকেশন/চাকরীর জন্য আসল গুনাবলী’(GOQ) নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলিতে নিয়োগ কর্তারা এটা করতে পারেন।

  • গোপনতা এবং শোভনতার জন্য: উদাহরন হল, একজন পুরুষকে যত্ন নেওয়ার চাকরী দেওয়া হবে, কারন তাকে অন্যান্য পুরুষদের জামাকাপড় বদলাতে এবং টয়লেট ব্যবহার করতে সাহায্য করতে হবে।
  • ব্যক্তিগত মঙ্গল সাধনের জন্য; উদাহরন হল, একটি মহিলাদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার জন্য মহিলা কাউন্সেলার নিযুক্ত করা।
  • যেখানে কর্মীকে বা কর্মীদের চাকুরীস্থানে রাত্রিবাস করতে হয় এবং সেখানে মহিলা এবং পুরুষদের আলাদা আলাদা শোবার ঘর নেই।
  • যে কোন একটি বিশেষ লিঙ্গের সংস্থার জন্য। যেমন-হাসপাতাল এবং জেলখানা।
  • প্রাইভেট বাড়ীতে কাজের জন্য। যেমন-যেখানে যত্ন নেওয়ার এবং সেবা করবার জন্য একজনের বাড়ীতে থাকতে হয়।
  • যেখানে কোন কাজের জন্য বিশেষ ধরনের শারীরিক গঠনের প্রয়োজন, যেমন মেয়েদের জামাকাপড়ের বিজ্ঞাপন দেওয়ার মডেল অথবা বিশেষ ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য।
  • কতকগুলি বিশেষ ক্ষেত্রে যেখানে চা