Skip Navigation | Accessibility

information, advice, guidance and learning materials in community languages

যৌনতার আকর্ষনের ভিত্তিতে বৈষম্যতা (চাকুরী বা কাজের জায়গায়)
DISCRIMINATION ON GROUNDS OF SEXUAL ORIENTATION (in the work place)

২০০৩ সালের ১লা ডিসেম্বর থেকে কর্মক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিকে তার যৌন আকর্ষনের কারনে কোন ব্যপারে তার বিরুদ্ধে পার্থক্য করা বেআইনি। এই নূতন আইন সব রকম চাকুরীতে, বৃত্তিগত ট্রেইনিংএর ক্ষেত্রে খাটে এবং এর ভিতর আছে কর্মক্ষেত্রে নূতন কর্মী নিযুক্ত করা, পদন্নোতি, বদলি এবং ট্রেইনিংয়ের ক্ষেত্রে প্রযোয্য।

যৌনতার আকর্ষনের সংজ্ঞা হচ্ছে অত্যন্ত বিস্তৃত এবং এই সংজ্ঞার ভিতর পড়ে একই লিঙ্গের ব্যক্তিদের পরস্পরের প্রতি আকর্ষন (সমকামী পুরুষ এবং মহিলাগন), বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষন (প্রথাগত যৌন সম্পর্ক) অথবা একই নিঙ্গের এবং বিপরীত লীঙ্গে প্রতি সমান আকর্ষন (নারী এবং পুরুষ দুই লিঙ্গের সঙ্গেই যৌন সম্পর্ক)

কি কি ধরনের বৈষম্যতা এর অন্তর্ভূক্ত?

প্রত্যক্ষ বৈষম্য

যখন কর্মচারী অথবা চাকুরী প্রার্থীকে তাদের যৌন আকর্ষনের কারনে অথবা অনুমানিত যৌন আকর্ষনের জন্য তাদের বিরুদ্ধে প্রতিকূল আচরন করা হয়, তাকেই বলা হয় প্রত্যক্ষ বৈষম্য। তার মানে হল যদি কোন ব্যক্তিকে তার যৌন আকর্ষনের কারনে চাকুরী না দেওয়া হয় অথবা বরখাস্ত করা হয়, অথবা তাকে ট্রেইনিং বা পদন্নোতি থেকে বঞ্চিত করা হয়, অথবা তাকে চাকুরীর প্রতিকূল সর্ত দেওয়া হয়, অথবা তাকে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়, তাহলে সেটা হয় প্রত্যক্ষ বৈষম্য।

কোন ব্যক্তিকে কয়েকটি সীমিত অবস্থায় জেনুইন অকুপেশনাল রিক্রুটমেন্ট (GOR)/আসল পেশাগত চাকরীতে নিযুক্ত করার প্রয়োজন আছে। তার মানে হল যে ব্যক্তির কোন বিশেষ যৌন আকর্ষন আছে সেই ব্যক্তিকে চাকুরীতে নিযুক্ত করা হয়েছে। যেমন কোন একটি দাতব্য সংস্থা/চ্যারিটি কেবলমাত্র সমকামী মেয়ে এবং পুরুষদের উপদেশ দিয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে তারা এটা বিবেচনা করতে পারে যে এই সংস্থার পরিচালকের/ম্যানেজারের পদে একজন সমকামী মেয়ে বা পুরুষকে নিযুক্ত করা উচিত। অন্যথায় এটাও হতে পারে যে কোন ধর্মীয় সংস্থা কোন বিশেষ ধরনের যৌন আকর্ষনযুক্ত ব্যক্তিকে চাকুরী দিতে অস্বীকার করতে পারে এই কারনে যে সেটা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাষের সঙ্গে খাপ খায় না। তবে এই জেনুইন অকুপেশনাল রিক্রুটমেন্ট (GOR)/আসল পেশাগত চাকুরীতে নিযুক্ত করার সম্বন্ধে যে কোন ব্যক্তি প্রশ্ন করতে পারেন এবং এটার যৌক্তিকতা প্রমান করার দায়িত্ব সর্ব্বদাই নিযুক্তকারীর উপর ন্যস্ত থাকে। এই জেনুইন অকুপেশনাল রিক্রুটমেন্ট (GOR)/আসল পেশাগত চাকুরীতে নিযুক্ত করার ব্যপারে প্রমান দেখিয়ে তাদের দাবীর প্রমান করতে হবে। নিযুক্তকারীর এই জেনুইন অকুপেশনাল রিক্রুটমেন্ট (GOR)/আসল পেশাগত চাকুরীতে নিযুক্ত করার প্রয়োজন আছে বলার আগে এটা খুব ভাল করে বিবেচনা করে দেখা উচিত্।

পরোক্ষ বৈষম্য

যখন কোন কোম্পানি অথবা সংস্থা কোন ব্যবস্থার মান অথবা কাজের ধরন, যেগুলি সেখানকার সব কর্মীদের, চাকুরী প্রার্থীদের, তাদের যৌন আকর্ষন যাই হোক না কেন, তাদেরকে এই ক্ষেত্রে তাদের যৌন আকর্ষনকে সাধারন অন্যান্য লোকেদের মত একই ধরনের বলে ধরা হয়। এবং এভাবে যখন সকলকে একই দলে ফেলা হয়, তখন যে সকল ব্যক্তির ভিন্ন ধরনের যৌন আকর্ষন আছে তাদেরকে প্রতিকূল অবস্থায় ফেলা হয় এবং একেই বলা হয় পরোক্ষ বৈষম্য। এই ব্যবস্থাকে কোন বৈধ লক্ষ্যে পৌছাবার সঙ্গত পথ বলে দেখানো যাবে না।

এর একটা উদাহরন হল, কার্যধারা বা নীতি অনুযায়ী সব কর্মীরা এবং কর্মপ্রার্থীরা, চাকুরীতে দরখাস্ত করার সময়, যদি আগে কোন অপরাধমূলক কাজ করে থাকেন, সেগুলি তাদের প্রকাশ করতে হয়, (এর ভিতর থাকে যদি এই কাজের জন্য তারা কোন শাস্তি ভোগ করে থাকেন, সেটাও)। এই ব্যবস্থ্যা বৈষম্যমূলক হতে পারে এই কারনে যে, অতীতে একসময় প্রাপ্তবয়স্ক সমকামী ব্যক্তিরা পরস্পরের সম্নতি নিয়ে যৌন মিলন করে থাকলে সেটা অপরাধমূলক কাজ বলে গন্য করা হত।

পরোক্ষ বৈষম্য করার জন্য যদি ন্যায্য কারন দেখানো যায় তাহলে সেটা বেআইনি হবে না। একজন কর্মকর্ত্তাকে এটা প্রমান করতে হবে যে এই বৈষম্যের পেছনে বৈধ কারন আছে। অন্যভাবে বলা যায় যে, যে কাজের জন্য কর্মী নিযুক্ত করা হচ্ছে, সেই কাজ সুষ্টভাবে সম্পন্ন করার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন এবং এই ব্যবস্থা বা নীতি কাজের লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ন। এককথায় এর মানে হল যে এই কাজের ব্যবস্থা এবং মানের জন্য অন্য কোন ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।

হয়রান করা

যে ব্যবহারের দ্বারা কোন একজন ব্যক্তির মর্য্যাদা ক্ষুন্ন করা হয় এবং আক্রমনাত্মক, ভীতিমূলক অথবা কোনভাবে তার উপর মানসিক চাপের সৃষ্টি করা হয়, তাকে বলা হয় হয়রানি। এর ভিতর থাকতে পারে ইচ্ছা করে নিপীড়ন করা, যেটা পরিস্কার ভাবে বোঝা যায়। তবে এটা খুব মৃদুভাবেও করা যেতে পারে, যেমন - খারাপ ধরনের উপনাম অথবা খারাপ নাম ধরে ডেকে পীড়ন করা। এই ধরনের ব্যবহার কোন ব্যক্তিকে খুবই মানসিক পীড়া দিতে পারে এবং নিযুক্তকারীদের এই অভিযোগকে গুরুতর বলে মনে করতে হবে এবং এই বিষয়ে তারা তদন্ত করতে বাধ্য।

নিপীড়ন করা

যখন কোন ব্যক্তি নালিশ করেছেন বা নালিশ করার উদ্দেশ্য আছে, অথবা অন্য কোন ব্যক্তি যিনি নালিশ করেছেন তাকে সাহায্য করার জন্য তার প্রতি ক্ষতিকারক ব্যবহার করা হয়, সেটাকে বলা হয় নিপীড়ন করা।

দায়ি থাকার বাধ্যবাধকতা

একজন নিযুক্তকারী কর্মকর্ত্তা বা সংস্থা অথবা অন্য কোন ব্যক্তিদের, যাদের উপর কোন অবস্থা সামলানোর বা সংশোধন করার দায়িত্ব আছে, তারা কর্মচারীদের আচরনের জন্য দায়ী থাকবেন। তারা যদি তাদের দায়িত্ব ঠিকমত পালন না করেন তাহলে, তাদের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দাবী করার অধিকার আপনার থাকবে।

আইনের বাধ্যতামূলক প্রয়োগ

এমপ্লয়মেনট ট্রাইবুনালে যৌন আকর্ষনের ব্যপারে বৈষম্যমূলক ব্যবহার সম্বন্ধে নালিশ করে এই আইনের বাধ্যতামূলক ব্যবহার করা হয়। ট্রাইবুনালে নালিশ করার আগে নিযুক্তকারী সংস্থার যে নিজস্ব অভিযোগের ব্যবস্থা আছে, সেই ব্যবস্থাকে সম্পূর্নভাবে ব্যবহার করা নিশ্চিত করা উচিত্। ট্রাইবুনালে ঘটনা ঘটার তিন মাসের ভিতর অথবা অনেকগুলি ঘটনা পর পর ঘটে থাকে, তাহলে শেষ ঘটনা ঘটার তিন মাসের ভিতর আপনাকে ট্রাইবুনালে নালিশ জানাতে হবে।

আপনি এই বৈষম্যের ব্যপারে আইনের কোন সাহায্য পাবেন কি না অথবা এই ঘটনা আপনার পক্ষে কতটা জোরদার, সেই বিষয়ে প্রথম থেকেই আইনের উপদেশ নেওয়া উচিত্।

This document was provided by Coventry law Centre, February 2004, www.covlaw.org.uk