Skip Navigation | Accessibility

information, advice, guidance and learning materials in community languages

এইচ আই ভি সংক্রান্ত দুর্নাম এবং বৈষম্যতা
HIV-RELATED STIGMA AND DISCRIMINATION

এইড্স সারা পৃথিবীতেই মহামারীর মত বিস্তার লাভ করেছে। যে সকল ব্যক্তিদের এইচ আই ভি এবং এইড্স আছে, সারা পৃথিবীতেই তাদের নানাভাবে কলঙ্কিত করা হয়ে থাকে।

সারা পৃথিবী জুড়েই যে সকল ব্যক্তিদের এইচ আই ভি আছে এবং যারা এর দ্বারা সংক্রামিত হয়েছেন, তাদের সমাজ থেকে বহিষ্কার করে, ব্যক্তিগতভাবে তাদের প্রত্যাখ্যান করে অথবা পরোক্ষভাবে তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক ব্যবহার করে এবং আইনের দ্বারা তাদের মূল অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তাদের প্রতি দুর্নাম দেওয়া হয়ে থাকে। ইউনাইটেড কিংডমে, চাকুরী বা কাজের ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার ব্যপারে, ইনসিওরেন্স করার ব্যপারে এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে এইচ আই ভি এবং এইডসের মহামারী আরম্ভ হওয়ার সময় থেকেই এই বৈষম্যতাগুলিকে বিস্তারিতভাবে প্রকাশিত করা হয়েছে।

দুর্নাম করা এবং বৈষম্যতাগুলি কি?

দুর্নাম বা স্টিগ্মা(stigma) হচ্ছে এক ধরনের কুসংস্কার যেটা একজন বা একদল ব্যক্তি যারা আমাদের অথবা সাধারন মানুষদের থেকে অন্যরকম, তাদের দুর্নাম দেওয়া বা প্রত্যাখ্যান করা হয়। যখন লোকে তাদের এই কুসংস্কার এবং অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে এবং তাদের উপর দুর্নাম আরোপ করে তখন সেটা বৈষম্যমূলক ব্যবহারে পরিনত হয়।

বৈষম্যমূলক আচরন(discrimination) হল কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের যখন কোন বিশেষ দলভূক্ত অথবা, মনে করা হয় তারা কোন বিশেষ দলভুক্ত (যেমন: সমকামী পুরুষদের তাদের যৌন আকর্ষনের ভিন্নতার জন্য পার্থক্য করা হয়), তখন তাদের প্রতি যে বিভেদমূলক ব্যবহার করা হয় তাকেই বলা হয় বৈষম্যমূলক আচরন।

এইচ আই ভি সম্বন্ধযুক্ত দুর্নাম এবং বৈষম্যতাগুলি কি?

এইচ আই ভি সম্বন্ধযুক্ত দুর্নাম বা স্টিগ্মা(stigma) সাধারনত মানুষের ভয় এবং অজ্ঞানতা থেকে আসে। এ ছাড়াও এবং /অথবা সাধারন মানুষের কতকগুলি দলের যেমন: সমকামী পুরুষেদের এবং আফ্রিকার কালো লোকেদের প্রতি বিদ্বেষ এবং কুসংস্কার থেকে এগুলির উদ্ভব হয়ে থাকে।

এইচ আই ভি সম্পর্কিত বৈষম্যগুলিহল যখন কোন ব্যক্তি এই রোগে ভুগছেন অথবা তাদের এই রোগ আছে বলে সন্দেহ করার ফলে তাদের প্রতি অন্যায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যে সকল ব্যক্তিরা এই রোগগুলিতে ভুগছেন, জনসাধারন তাদের ছাড়াও অন্যান্য যে সকল ব্যক্তিগন এইচ আই ভি এবং এইডসের সঙ্গে যুক্ত আছেন বলে মনে করে থাকেন, তাদের প্রতিও এই বৈষম্যমূলক ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এইচ আই ভি সম্পর্কিত বৈষম্যগুলি হচ্ছে অদ্বিতীয়। অন্যান্য বিকলাঙ্গদের প্রতি যে বৈষম্যমূলক ব্যবহার করা হয়ে থাকে, এই বৈষম্যমূলক ব্যবহার তার থেকে অন্যরকম। এই‍ ‍বৈষম্যমূলক ব্যবহারের সঙ্গে প্রায়শই অন্যান্য বৈষম্যমূলক ব্যবহারও যুক্ত থাকে যেমন বর্নবিদ্বেষ এবং সমকামী ব্যক্তিদের প্রতি বিদ্বেষ।

এইচ আই ভি সম্পর্কিত দুর্নাম এবং বৈষম্যের প্রতি কি কি বিষয়ের অবদান থাকে?

  • এইচ আই ভি হচ্ছে একটি জীবন সংশয়কারী অবস্থা;
  • এই রোগ সম্বন্ধে কম বোঝার ক্ষমতা বা অজ্ঞানতা(যেমন: কি ভাবে এইচ আই ভি এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তির ভিতর ছড়ায় সে সম্বন্ধে ভুল ধারনা);
  • বিশেষ কতকগুলি ব্যবহার এবং জীবনযাত্রার সঙ্গে এইচ আই ভিকে যুক্ত করা (যেমন সমকামীতা এবং ড্রাগের ইনজেকশন নেওয়া);
  • কয়েকটা দলকে তাদের জাতীয়তা, লিঙ্গ এবং/অথবা যৌন আকর্ষনের জন্য তাদের সঙ্গে আগের থেকেই বৈষম্যমূলক ব্যবহার করা হচ্ছে, তাদেরকে এর সঙ্গে যুক্ত করা; এবং
  • খবরের প্রচারযন্ত্রের মাধ্যমে দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং পক্ষপাতমূলক খবর প্রচার করা

এইচ আই ভি সম্পর্কিত বৈষম্যতার উদাহরণ

যে সকল ব্যক্তিদের এইচ আই ভি আছে, অথবা যাদের এইচ আই ভি থাকতে পারে বলে মনে করা হয়, তাদেরকে, তাদের জীবনের সব ক্ষেত্রেই দুর্নাম দেওয়া হয়ে থাকে এবং তাদের জীবনের এমন কোন অংশ নেই যেখানে তাদেরকে বৈষম্যতার শিকার হতে হয় না।

চাকুরী

এই বৈষম্যতার উদাহরনগুলি হল চাকুরী দেওয়ার আগে এইচ আই ভির পরীক্ষা করা, যে সকল ব্যক্তিদের এইচ আই ভি আছে তাদের চাকুরী দিতে অস্বীকার করা, কর্মক্ষেত্রে হয়রানি বা নাকাল করা এবং পদত্যাগ করতে বাধ্য করা। ন্যাশনাল এইড্স ট্রাস্ট (NAT) কর্মক্ষেত্রে এই বৈষম্যতা বন্ধ করার জন্য নিযুক্তকর্ত্তাদের (employers) জন্য একটি তথ্য পঞ্জিকা বের করেছে। এই সম্বন্ধে আরও জানবার জন্য www.areyouhivprejudiced.org ওয়েবসাইটটি দেখুন ।

বাড়ীঘর

এই বৈষম্যতার উদাহরন হল কোন কারণ না দেখিয়েই বাড়ী ভাড়া দিতে অস্বীকার করা, ভাড়াটেকে হয়রানি বা নাকাল করা এবং বিনা কারনে বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করা।

বীমা বা ইনসিওরেন্স

কোন কোন বীমা বা ইনসিওরেন্স কোম্পানি কোন ব্যক্তিকে বীমা বা ইনসিওরেন্স দেওয়ার আগে এইচ আই ভি আছে কি না সেটা পরীক্ষা করে দেখে অথবা সমকামী পুরুষদের, তাদের এইচ আই ভি আছে কি না, সেটা না জেনেই স্বাস্থ্যের জন্য বীমা বা ইনসিওরেন্স এবং জীবনবীমা দিতে অস্বীকার করা।

শিক্ষা

যে সকল শিক্ষকদের এইচ আই ভি আছে, তারা সেটা স্কুলের ছাত্রদের ভিতর সংক্রামিত করতে পারে এই অযৌক্তিক ভয়ের ফলে তাদের বরখাস্ত করা এবং এই ব্যপক ভয়ের ফলে কিছু বয়স্ক ব্যক্তিরা যে সকল ছাত্রদের এইচ আই ভি আছে তাদের স্কুলে আসা বন্ধ করার জন্য চরম ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করে থাকেন।

সেবা ব্যবস্থাগুলি

সেবা ব্যবস্থা প্রদানকারী সংস্থাগুলিও এই বৈষম্যতা দেখাতে পারে, বিশেষতঃ স্বাস্থ্যের যত্নের ব্যপারে। এর ভিতর থাকতে পারেন - পারিবারিক ডাক্তার/জিপি, সার্জেন, নার্স অথবা দাঁতের ডাক্তার। তারা যাদের এইচ আই ভি আছে এবং যাদের এইচ আই ভি আছে বলে সন্দেহ করা হয়ে থাকে, তাদের চিকিত্সা করতে অস্বীকার করা অথবা এই সংক্রামন সামলানোর জন্য অপ্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এই দুর্নাম এবং বৈষম্যতা দূর করতে সাহায্যের জন্য ন্যাশনাল এইড ট্রাস্ট (NAT) একটি তথ্য পঞ্জিকা বের করেছে। এই সম্বন্ধে আরও জানবার জন্য www.areyouhivprejudiced.org ওয়েবসাইটটি দেখুন ।

এইচ আই ভির দুর্নাম এবং বৈষম্যতার ফল কি?

যে সকল ব্যক্তিরা এইচ আই ভি এবং এইড্স এ ভুগছেন বা এর প্রভাব যাদের উপর পড়েছে, তাদের যদি দোষ দেওয়া হয় বা তাদের প্রতি খারাপ ব্যবহার করা হয়, তাহলে এই মহামারীকে জোর করে গোপনতার দিকে ঠেলে দেওয়া হয় এবং এর ফলে এইচ আই ভির বিস্তারিতভাবে ছড়িয়ে পড়ার উপযুক্ত ক্ষেত্র তৈরী হয়।

এর কারন হল:

  • দুর্নাম এবং বৈষম্যতার ফলে এইচ আই ভিকে প্রতিরোধ করার এবং এই রোগের যত্ন নেওয়ার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না। কারন এর ফলে তারা এই রোগের পরীক্ষা করানো, এর সম্বন্ধে তথ্য জানার এবং এর থেকে কি ভাবে নিজেদের এবং অন্যদের রক্ষা করতে পারেন, সেই ব্যপারে খবরাখবর জানার থেকে বিরত থাকেন।
  • যে সকল অনগ্রসর দলগুলিকে আগেই নানাকারনে লাঞ্ছিত করা হয়েছে এবং একঘরে করে রাখা হয়েছে - এই দুর্নাম এবং বৈষম্যতা সেই দলগুলির উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে।
  • যে সকল ব্যক্তিরা এইচ আই ভি এবং এইড্স এ ভুগছেন এবং যাদের এই রোগ আছে বলে অনুমান করে নেওয়া হয়, তাদের বিরুদ্ধে এই বৈষম্যতার মানে হল তাদেরকে মৌলিক মনুষ্যত্বের অধিকার থেকে, বিশেষ করে মানুষের সঙ্গে মানুষের বিভেদ না করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়।

এইচ আই ভির জন্য দুর্নাম দেওয়া এবং বৈষম্যতার মোকাবিলা করা

এইচ আই ভির জন্য দুর্নাম দেওয়া এবং বৈষম্যতার বিরুদ্ধে কার্যকরীভাবে মোকাবিলা করবার জন্য অনেক ধরনের পদ্ধতির ব্যবস্থা করার প্রয়োজন, যেগুলি এই কুসংস্কারগুলিকে দূর করে মানুষের অধিকারকে রক্ষা করবে।

বর্ত্তমানে আইনের কাঠামোর ভিতর বৈষম্যবিরোধী ব্যবস্থা

বর্ত্তমান বৈষম্যবিরোধী আইনের মূল তিনটি সংবিধি (statute) আছে। সেগুলি যৌনতা, বর্ণবিদ্বেষ এবং বিকলাঙ্গতার সম্বন্ধে। এইগুলি হল ১৯৭৫ সালের দি সেক্স ডিসক্রিমিনেশন এ়ক্ট/যৌন বৈষম্যমূলক আইন, ১৯৭৬ সালের দি রেস রিলেশন এ়ক্ট/ বর্ণবিদ্বেষ সম্পর্কিত আইন এবং ১৯৯৫ সালের দি ডিসেবিলিটি ডিসক্রিমিনেশন এ়ক্ট/ বিকলাঙ্গতার সম্পর্কিত বৈষম্যমূলক আইন (এটা অদূর ভবিষ্যতে সংশোধিত করা হবে, নীচে দেখুন)

এ ছাড়াও ২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে দি এমপ্লয়মেন্ট ইক্যুয়ালিটি/চাকুরীর ক্ষেত্রে সমান সুযোগ (যৌনতার আকর্ষন সম্পর্কিত) নামক আইনটি, চাকুরীর ক্ষেত্রে এবং বৃত্তিগত ট্রেইনিংয়ের ক্ষেত্রে যৌন আকর্ষন সম্বন্ধে বৈষম্যতা করা নিষিদ্ধ। নতুন আইন যেটা ধর্মীয় এবং বিশ্বাসভিত্তিক বৈষম্যতাকেও নিষিদ্ধ করে, সেই আইনও এখন চালু হয়েছে।

আইনের বিষয়ে উন্নতি

২০০৩ সালে ডিসেবিলিটি ডিসক্রিমিনেশন বিল, ২০০৫ সালের শরত্কালে আইনে পরিনত হয়েছে এবং ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে এই আইন বলবত্ হবে। এই আইনে যে সংশোধনগুলি করা হয়েছে, তার ফলে যে সকল ব্যক্তিরা এইচ আই ভি রোগে ভুগছেন তাদের আইনের অধিকারের কিছুটা উন্নতি হবে। বিশেষ করে, যে মূহুর্ত্ত থেকে একজন ব্যক্তির এইচ আই ভি আছে বলে সনাক্ত করা হবে, সেই মূহুর্ত্ত থেকে তার জন্য বৈষম্যতার বিরুদ্ধে আইনের প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। পুরাতন আইনে, যখন থেকে কোন ব্যক্তির এইচ আই ভির লক্ষন দেখা দিত বা এইড্স আছে বলে সনাক্ত করা হত, সেই সময় থেকে তাদেরকে এই প্রতিরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল।

২০০৪ সালের মে মাসে সরকার একটি ‘কমিশন ফর ইক্যুয়ালিটি এন্ড হিউম্যান রাইটস/Commission for Equality and Human Rights (CEHR)’স্থাপন করা সম্বন্ধে ‘হোয়াইট পেপার’ প্রকাশ করেছেন এবং এই সম্বন্ধে আলোচনা সবেমাত্র শেষ হয়েছে। এই প্রস্তাবিত ‘কমিশন ফর ইক্যুয়ালিটি এন্ড হিউম্যান রাইটস(CEHR)’, বর্ত্তমানে যে তিনটি ইক্যুয়ালিটি কমিশনের যে যে দায়িত্বগুলি আছে , সেই দায়িত্বগুলি গ্রহন করবে। এই তিনটি ইক্যুয়ালিটি কমিশনগুলি হল ‘ দি কমিশন ফর রেসিয়াল ইক্যুয়ালিটি(CRE)’, ‘দি ডিসেবিলিটি রাইটস কমিশন (DRC)’ এবং ‘দি ইক্যুয়াল অপরচ্যুনিটিস কমিশন (EOC)’ । এই নুতন কমিশন ‘হিউম্যান রাইট্স এ়ক্টের জন্য প্রতিষ্ঠানগত সাহায্যও প্রদান করবে। এই ‘কমিশন ফর ইক্যুয়ালিটি এন্ড হিউম্যান রাইটস(CEHR) যাতে ২০০৭ সালের ভিতর কাজ আরম্ভ করতে পারে সেটাই সরকারে ইচ্ছা এবং ২০০৮/২০০৯ সালের ভিতর বর্ত্তমানের সবগুলি ইক্যুয়ালিটি কমিশনের দায়িত্ব নিয়ে নেওয়া।

তবে এ ছাড়াও আরও অনেক উন্নতি করার সুযোগ আছে। যেমন বৈষম্যবিরোধী /আইনগুলিকে আরও সহজ করার প্রয়োজন যাতে সহজেই সেইগুলিকে ব্যবহার করা যায়। বর্ত্তমানে বর্ন এবং বিকলাঙ্গতামূলক বৈষম্যতার ব্যপারে অনেকগুলি আইন আছে এবং এইগুলি বিভিন্ন স্তরের সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। ‘কমিশন ফর ইক্যুয়ালিটি এন্ড হিউম্যান রাইটস(CEHR)স্থাপন করা এবং দি ডিসেবিলিটি ডিসক্রিমিনেশন বিল যদিও উন্নতির পথে পদক্ষেপ, তাহলেও সেটা যথেষ্ট নয় এবং অন্যান্য ক্ষেত্র এই বৈষম্যতা থেকে যাবে। এই সব আইনগুলিকে একত্র করে একটামাত্র সমান সুযোগের আইনের সৃস্টি করা উচিত এবং সেখানে এটাই বলা উচিত্ যে সব মানুষের সমান অধিকার এবং কারো বিরুদ্ধে কোনরকম বৈষম্যতা করা যাবে না, এবং এই ব্যপারে নিযুক্তকর্ত্তাদের, জনসাধারনের সংস্থাগুলি, এবং বিক্রেতারা এবং যারা সেবা ব্যবস্থা প্রদান করে থাকেন, তাদের দায়িত্ব কি কি সেই সবগুলিকে এক জায়গায় করা যাবে। ন্যাশনাল এইড্স ট্রাস্টের ‘ক্যামপেইন ফর এ সিঙ্গল ইক্যুয়ালিটি’ সম্বন্ধে আরও তথ্যের জন্য http://www.nat.org.uk/documents/KIS.pdf ওয়েবসাইটি দেখুন।

শিক্ষা

যে সকল ব্যক্তিরা এইচ আই ভি তে ভুগছেন এবং যে সকল দলগুলি এই রোগের বীজানু দ্বারা আক্রান্ত, তাদের প্রতি কলঙ্কদান এবং বৈষম্যতা কমাতে বা বন্ধ করতে শিক্ষার প্রচার করা হচ্ছে একটা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য উপাদান। তিন ধরনের শিক্ষামুলক পদ্ধতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।। সেগুলি হল জনসাধারনের শিক্ষা ব্যবস্থা, পেশাদারী শিক্ষা ব্যবস্থা এবং কেন্দ্রীভূত শিক্ষা ব্যবস্থা।

সাধারন লোকেদের ভিতর এইচ আই ভি সম্বন্ধে জ্ঞান বাড়ানোর জন্য জনসাধারনের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন। এর সঙ্গে যেহেতু স্বাস্থ্যের যত্ন প্রদানকারী সংস্থাগুলিতে এই বৈষম্যতা বেশী পরিমানে দেখা যায়, সেইজন্য স্বাস্থ্যের সেবা প্রদানকারী কর্মীদের শিক্ষা প্রদান করাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।। সেইসঙ্গে অন্যান্য পেশাদারী দলকেও এই শিক্ষা দিতে হবে। জনসাধারনের এবং পেশাদারী শিক্ষাসূচীগুলিকে সমাজের বিশেষ দল বা সদস্যদের সাহায্য নিয়ে সমর্থন করতে হবে। এর ভিতরে থাকতে পারে বিভিন্ন ধর্মীয় বা বিশ্বাস ভিত্তিক দলগুলি অথবা কোন বিশেষ কর্মক্ষেত্র অথবা যে সকল দলগুলি, যেমন আফ্রিকার লোকেরা এবং সমকামী পুরুষের দলরা, অতিরিক্তভাবে এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত।

ন্যাশনাল এইডস ট্রাস্টের, ‘আপনি কি এইচ আই ভি সম্বন্ধে কুসংস্কারাছন্ন’? প্রচারকার্য এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে, যেটা এইচ আই ভি সম্বন্ধে তথ্য প্রদান করে, এইচ আই ভি সম্পর্কিত দুর্নাম বা বৈষম্যকে দোষারুপ বা অভিযুক্ত করে, দুর্নাম এবং বৈষম্যের ফলাফল কি সেটা বর্ননা করে, এবং কি ভাবে বৈষম্যের মোকাবিলা করা যায় তার পথ দেখায়। এই প্রচারকার্য্যের অংশ হিসাবে দুইটি শিক্ষামূলক তথ্যপত্র প্রকাশিত করা হয়েছে। এর ভিতর একটার লক্ষ্য হল কর্মক্ষেত্রের এবং অন্যটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যের যত্ন প্রদানকারী স্থানগুলীতে বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করা। যে সকল ব্যক্তিরা এই সকল জায়গায় কাজ করেন, এই তথ্যপত্রগুলিতে, তারা কি ভাবে বৈষম্যের মোকাবিলা এবং নূতন আইনের কাঠামোর ভিতর কাজ করতে পারবেন সেই সম্বন্ধে নানারকমের খবর, ধারনা এবং ভাল ব্যবহারের পথনির্দেশ করে থাকে।

সামাজিক দলগুলিকে সচল করা

যে সকল সামাজিক দলগুলিএইচ আই ভি এবং এইড্স এর দ্বারা আক্রান্ত, সেই সকল সামাজিক দলের সংস্থাগুলিকে এবং যেখানে অনেকগুলি সংস্থা (network) একসঙ্গে কাজ করে, সেগুলিকে উন্নত করা উচিত্।

এইচ আই ভির বিরুদ্ধে বৈষম্য বন্ধ করা, এর মোকাবিলা করা এবং এটা দূর করার জন্য যে সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিবর্ত্তনের প্রয়োজন, তার জন্য ঐতিহাসিকভাবে এই সংস্থাগুলি এককভাবে এবং একসঙ্গে কাজ করে চলেছে।

ন্যাশনাল এইড্স ট্রাস্টের এইচ আই ভির কলঙ্ক এবং বৈষম্যের কাজকর্মের ব্যপারে আরও তথ্যের জন্য আমাদের www.areyouhivprejudiced.org ওয়েবসাইটটি দেখুন ।

This document was provided by The National AIDS Trust, July 2005. www.nat.org.uk