Skip Navigation | Accessibility

information, advice, guidance and learning materials in community languages

যৌন সংক্রামক রোগের ভূমিকা
An Introduction to Sexually Transmitted Diseases

যৌন সংক্রামক রোগ/সেক্সুয়ালী ট্র্যান্সমিটেড ডিসিস (এস টি ডি/STD ) হচ্ছে বিশেষ ধরেনর রোগ যেগুলি যৌনমিলনের সময় একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে বিস্তার লাভ করে। এই রোগগুলি সংক্রামক রোগের বীজ/ভাইরাস, জীবানু/ব্যকটেরিয়া এবং পরগাছা জীবানু/প্যরাসাইটস থেকে হয়। এই রোগগুলিকে যৌনসংক্রান্ত সংক্রামন/সেক্সুয়ালী ট্র্যান্সমিটেড ইনফেকশন (এস টি আই/STI) অথবা পুরানো নাম ভেনারেল ডিজিজ নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। অন্ততপক্ষে ২৫ রকমের যৌন সংক্রামক রোগ/সেক্সুয়ালী ট্র্যান্সমিটেড ডিসিস আছে। এই সবগুলিরই একটা সাধারন নিয়ম হল যে এইগুলি যৌনমিলনের মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। এর ভিতর আছে স্ত্রী যোনি, মলাদ্বার এবং মৌখিক যৌন মিলন। এই তথ্যপত্রে সবরকম যৌন সংক্রামক রোগ সম্বন্ধে আলোচনা করা হয় নি, কেবলমাত্র যেগুলি বেশী হয়ে থাকে, সেগুলি সম্বন্ধেই আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের এখানে কিভাবে এইচ আই ভির(HIV)সংক্রামন হয়ে থাকে সে সম্বন্ধেও তথ্য দেওয়া হয়েছে।

আপনার যৌন সংক্রামক রোগ আছে কি না সেটা আপনি কিভাবে বুঝবেন?

যে কোন ব্যক্তি যিনি যৌনসঙ্গম করে থাকেন তার যৌন সংক্রামক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই রোগের কতকগুলি লক্ষন থাকতে পারে, যেমন-জনন যন্ত্রে রসক্ষরন, প্রস্রাবের সময় যন্ত্রনা এবং জনন যন্ত্র ফুলে যাওয়া এবং জ্বালা যন্ত্রনা হওয়া। অনেকগুলি যৌন সংক্রামক রোগের যেমন ক্লামাডিয়ার প্রায়শই কোন লক্ষন থাকে না। এইজন্য আপনার যদি মনে হয় যে আপনার যৌন সংক্রামক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে, তাহলে আপনার যৌন স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করানো উচিত, যাতে যৌন সংক্রামক রোগ আছে কি না ধরা যায়। শরীরে যৌন রোগ থাকলেও সেটার লক্ষন ধরা পড়তে সময় লাগে এবং এটা সম্ভব যে এই সময়ের মধ্যে এই রোগ আপনার শরীর থেকে অন্য লোকের মধ্যে সংক্রামিত হতে পারে। এইজন্য আপনার যৌন স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করানো এবং প্রয়োজন পড়লে চিকিত্সা করানো অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। আপনার, যদি স্বামী/স্ত্রী বা কোন সঙ্গী থাকে এবং তার যৌন রোগ আছে বলে ধরা পড়ে, তার মানে এই নয় যে তিনি অন্য কারো সঙ্গে যৌন সঙ্গম করছেন, কারণ রোগগুলির লক্ষণ এই রোগ সংক্রামন হওয়ার অনেক মাস পরেও ধরা পড়তে পারে।

আপনার যাতে যৌন সংক্রামক রোগ না হয় তার জন্য আপনি কি করতে পারেন?

আপনি কনডোম ব্যবহার করে এবং আপনার এবং স্বামী /স্ত্রী/সঙ্গীদের যৌন স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করিয়ে এই যৌন সংক্রান্ত রোগ হওয়ার বিপদের সম্ভাবনা কমাতে পারেন। আপনার যত বেশী যৌন সঙ্গী থাকবে, ততই আপনার যৌন সংক্রামক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকবে। অন্যভাবে এই বিপদের সম্ভাবনা কমানোর পথ হল যে মৌখিক যৌন মিলন করার সময় ডেনটাল ড্যাম এবং কনডোম ব্যবহার করা। যৌন সংক্রান্ত খেলনাগুলি ব্যবহার করার পর পরিষ্কার করে রাখা, যৌনমিলনের পর হাত ধোওয়া এবং জনন যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখা।

আপনার যৌন সংক্রান্ত রোগ আছে কি না সেটা জানা উল্লেখযোগ্য কেন?

অনেক যৌন সংক্রান্ত রোগেরই খুব কঠিনভাবে সংক্রামন করার সম্ভাবনা থাকে এবং এর ফলে স্থায়ী ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তার মধ্যে থাকতে পারে সময়মত চিকিত্সা না হওয়ার ফলে বন্ধ্যা অবস্থা। অনেক যৌন সংক্রান্ত রোগই যৌন সঙ্গীর মধ্যে সহজে সংক্রামিত হতে পারে এবং কিছু কিছু যৌন সংক্রান্ত রোগ মায়ের থেকে গর্ভের সন্তানের মধ্যে সংক্রামিত হতে পারে। যৌন সংক্রান্ত রোগগুলি থাকলে এইচ আই ভি হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে।

যৌন সংক্রান্ত রোগের নির্দেশিকা

ব্যাকটেরিয়াল ভাজিনোসিস (বিভি/BV) - এই রোগকে কঠিন অর্থে যৌন সংক্রান্ত রোগ বলা যায় না, কারণ এই রোগ যৌনমিলনের দ্বারা সংক্রামিত হয় না। তবে যৌনমিলনের দ্বারা এই রোগের বাড়াবাড়ি হতে পারে এবং যে সকল মহিলারা কোন দিন যৌন সঙ্গম করেননি, তাদের থেকে যে সকল মহিলারা নিয়মিত যৌন সঙ্গম করে থাকেন তাদের মধ্যে এই রোগ বেশী হয়। জনন যন্ত্রের স্বাভাবিক জীবানুর ভিতর সমতা না থাকার দরুন এই রোগ হয়ে থাকে। যদিও এই জীবানু সাধারনভাবে ক্ষতিকারক নয় এবং অজানাভাবে এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তির মধ্যে যেতে পারে, তাহলেও মধ্যে মধ্যে যোনি থেকে বেশী পরিমানে স্রাব বেরোতে পারে এবং সেটার থেকে মাছের গন্ধের মত গন্ধ বেরোতে পারে। যদিও পরিষ্কার ভাবে জানা যায় না যে কেন ব্যাকটেরিয়াল ভাজিনোসিস (বিভি/BV) হয়, তবে এটা মনে করা হয় যে বীর্যে এলকালাইন থাকার দরুন এটা হতে পারে, কারন এটা স্ত্রী যোনির জীবানুগুলি যেগুলি এসিডিক(টক), সেগুলির মধ্যে গন্ডগোল সৃষ্টি করে। এই রোগ হওয়ার আর একটা কারন হতে পারে কয়েল ব্যবহার করার ফলে। একজন মহিলা থেকে এই রোগ কোন পুরুষের মধ্যে যেতে পারে না। তবে তার এই রোগের চিকিত্সা করানো অত্যন্ত জরুরী কারন ব্যাকটেরিয়াল ভাজিনোসিস কখনও কখনও জরায়ু এবং ফেলোপাইন টিউব পর্যন্ত যেতে পারে এবং তার ফলে কঠিন সংক্রামক রোগের সৃষ্টি হতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়াল ভাজিনোসিসের চিকিত্সার জন্য জনন যন্ত্রে একটা ক্রীম লাগাতে হয় এবং এ়ন্টিবায়োটিক ঔষধ খেতে হয়।

বালানিটিস - এই রোগকে প্রায়ই বলা হয়ে থাকে যে এটা হল সংক্রামনের লক্ষন এবং হয়ত এটা সংক্রামক রোগ নয়। এক কথায় বলা যায় না যে এটা যৌন সংক্রামক রোগ, এটা বিশেষ করে হচ্ছে যৌন সঙ্গমের ফলাফল। এই রোগ কেবলমাত্র পুরুষদের হয়। এই রোগের লক্ষন হল পুরুষ জনন যন্ত্রের মাথা ফুলে যাওয়া এবং যাদের লিঙ্গের উপরের চামড়া কাটা, অন্যদের থেকে তাদের এই রোগ কম হয়। অপরিস্কার অবস্থা, কনডোম এবং স্পারমিসাইডস্‌ (জেলী জাতীয় পদার্থ) ব্যবহার করার জন্য জ্বালা যন্ত্রনা হওয়ার জন্য, সুগন্ধি প্রসাধন দ্রব্য গুলির ব্যবহার করার এবং থ্রাস হওয়ার ফলে এই রোগ হতে পারে। কতকগুলি বিশেষ প্রসাধন দ্রব্যগুলি ব্যবহার না করে এবং জনন যন্ত্রের চামড়ার নীচে পরিষ্কার করে ধুঁয়ে রাখলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এই রোগের চিকিত্সা হল, ক্রীমের ব্যবহার যাতে ফোলা কমে এবং যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে এ়ন্টিবায়োটিকস খাওয়া।

ক্লামোডিয়া- এটা হচ্ছে সবচাইতে সাধারন জীবানুদ্বারা সংক্রমিত যৌন সংক্রান্ত রোগ। এই রোগের যদি সময়মত চিকিত্সা না হয় তাহলে বয়স হলে পরে গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। ক্লামাডিয়া মহিলাদের গর্ভাশয়ের সঙ্কীর্ন অংশে রোগের সংক্রামন করে। এই রোগের দ্বারা পুরুষ এবং মহিলা দুজনেরই মুত্রনালী, মলদ্বার এবং চোখে এই রোগ সংক্রামিত হতে পারে। এই রোগ যে সংক্রামিত হয়েছে, যে কোন সময়েই তার লক্ষন দেখা যেতে পারে। সাধারনত: এই রোগের সংস্পর্শে আসার এক থেকে তিন সপ্তাহের ভিতর এই লক্ষনগুলি দেখা যায়। তবে এটাও দেখা যায় যে এর লক্ষনগুলি অনেকদিন পর প্রকাশ পেতে পারে। ক্লামাডিয়ার সম্বন্ধে আরও খোজ খবর নিন।

ক্রেব অথবা পিউবিক লাইস - এইগুলি হচ্ছে কাকড়ার মত ছোট পরগাছা জীবানু/প্যারাসাইটস। এইগুলি চুলের মধ্যে বাস করে এবং রক্ত শুষে খায়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই যৌন এলাকার চুলের ভিতর। তবে বগলের চুলে, শরীরের অন্যান্য জায়গায় এমন কি মুখের এলাকায়, যেমন ভুরুর ভিতরেও এই জীবানুগুলি থাকতে পারে। এগুলি মানুশের শরীর ছাড়া বাইরেও থাকতে পারে, এবং সেইজন্য জামাকাপড়ের ভিতরে বিছানার কাপড়চোপর এবং টাওয়েল গুলিতেও পাওয়া যেতে পারে। আপনার হয়ত: এই ক্রেব/কাকড়া থাকতে পারে কিন্তু আপনি জানেন না, তবে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পরে আপনার চুলকানি হতে পারে। এই ক্রেব/কাকড়াগুলি সাধারনত যৌন সঙ্গম করার সময় একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে যায়, তবে জামাকাপড়, টাওয়েল অথবা বিছানাপত্রে অন্য কারো সঙ্গে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করলেও এই রোগ একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে যেতে পারে। এই রোগে আপনি যাতে আক্রান্ত না হতে পারেন, কার্যকরীভাবে ভাবে সেটা বন্ধ করা কঠিন। তবে জামাকাপড় এবং বিছানাপত্র গরম জলে ধুঁয়ে আপনি অন্যদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়া বন্ধ করতে পারেন। ফার্মেসী থেকে লোশন কিনে এই পরগাছা জীবানুগুলিকে/প্যারাসাইটগুলিকে মারবার জন্য সারা শরীরে মাখতে পারেন। যৌন এলাকার চুল কেটে ফেললেই যে এই ক্রেব/কাকড়াগুলি ছাড়াতে পারবেন এমন কোন কথা নেই।

এপিভিডাইমিটিস - হচ্ছে এপিডিডাইমিটিসের ফোলা। এটা হচ্ছে পুরুষের শুক্রাশয়ের উপরের কতকগুলি টিউব, যেখানে পুরুষের শুক্রানু/স্পার্ম জমা করা থাকে। সবসময় এই রোগ যৌন সংক্রামক রোগের ফলে হয় না। কিন্তু যদি কখনও কখনও এইভাবে হয়ে থাকে, তাহলে তার মানে হল যে ক্লামাডিয়া অথবা গনোরিয়া থাকার জন্য হয়েছে। এই অসুখের লক্ষন হল শুক্রাশয় এবং অন্ডকোষ ফুলে যাওয়া এবং যন্ত্রনা হওয়া। এই রোগ হওয়া বন্ধ করার পথ হল যৌনমিলনের সময় কনডোম ব্যবহার করা। যেমন ক্লামাডিয়া এবং গনোরিয়া যাতে না হতে পারে, তারও সর্বশ্রষ্ঠ পথ হল কনডোম ব্যবহার করা। এপিডিডাইমিটিস রোগ এক ব্যক্তি থেকে আরেকজন ব্যক্তির মধ্যে ছড়ায় যায় না তবে অন্য কোন সংক্রামক রোগ, থাকলে সেগুলি এই রোগকে ছাড়াতে সাহায্য করতে পারে। ক্লামাডিয়া এবং গনোরিয়ার অংশটি পড়ে দেখুন। এই রোগের চিকিত্সার পদ্ধতি হল যে অন্য সংক্রামনের ফলে এই রোগ হয়ে থাকে, এন্টিবায়োটিক দ্বারা সেই রোগের চিকিত্সা করা হয়।

জেনিটাল হারপিস - জননেন্দ্রিয়ের হারপিস হওয়ার কারন হল হারপিস সিমপ্লেক্স রোগের বীজ/ভাইরাস। এই রোগের বীজ/ভাইরাস জননেন্দ্রিয়ের মুখে, মলদ্বারের চারদিকের চামড়ায় এবং আঙ্গুলে আক্রমন করে। এই রোগের জীবানুর/ভাইরাসের প্রথম আক্রমন হওয়ার পর সেগুলি মাংসপেশীর অংশের ভিতর লুকিয়ে থাকে সেখানে সেইগুলি এমনভাবে লুকিয়ে থাকে যে তাকে ধরা যায় না এবং এর কোন লক্ষন দেখা যায় না। এই রোগের জীবানুর/ভাইরাসের প্রথম সংক্রামনের পর ১ দিন থেকে ২৬ দিনের ভিতর এই রোগের লক্ষন ধরা পড়ে এবং এই সংক্রামন দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে। মহিলা এবং পুরুষ দুজনেরই একটা বা তার থেকেও বেশী লক্ষন থাকতে পারে। এর ভিতর থাকতে পারে জননেন্দ্রিয় অথবা মলদ্বারে চুলকানি বা শরীরে ঝন ঝন করা, ছোট ছোট ফুসকরি, যেগুলি ফেঁটে যেতে পারে এবং ঘায়ের সৃষ্টি করতে পারে এবং সেই ঘা খুব যন্ত্রনা দেয়। প্রচ্ছাব করার সময় যদি তা এই ঘায়ের উপর পরে তাহলে খুব যন্ত্রনা হয়। এ ছাড়াও ফ্লু এর মত হয়, পিঠে ব্যথা, মাথা ব্যথা, লালাগ্রন্থি/গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া এবং জ্বর হওয়া ইত্যাদি। আরও জানবার জন্য জেনিটাল হারপিস অংশটি দেখুন।

জেনিটাল ওয়ার্টস/জননেন্দ্রিয় আঁচিল - এইগুল পুরুষ বা মহিলাদের জননেন্দ্রিয়ের যতে কোন অংশে ছোট ছোট মাংসপিন্ডের মত গজায়। এইগুলি হয় হিউম্যন পাপিলোমা ভাইরাস/রোগের জীবানু (এইচ পি ভি/HPV) দ্বারা। এই ওয়ার্ট/আঁচিল জননেন্দ্রিয় বা শরীরের অন্য অংশেও, যেমন হাতে হতে পারে। এই রোগের সংষ্পর্শে আসার ১ থেকে তিন মাসের ভিতর জননেন্দ্রিয়ে এই ওয়ার্ট/আঁচিল বেরোয়। আপনি বা আপনার সঙ্গী হয়ত দেখতে পাবেন যে জননেন্দ্রিয়তে ছোট ছোট গোলাপী মাংসপিন্ড বা ফুলকপির মত দেখতে মাংসপিন্ড গজিয়েছে। এই মাংসপিন্ড স্ত্রী যোনী দ্বারে, অন্ডকোষ বা মলদ্বারে হতে পারে। এই মাংসপিন্ডগুলি আলাদা আলাদা ভাবে একটা একটা করে বা একসঙ্গে অনেকগুলি হতে পারে। সেগুলিতে সাধারনত কোন ব্যথা হয় না তবে চুলকানি হতে পারে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই অন্য কোন লক্ষন দেখা যায় না এবং এই ওয়ার্টগুলি/আঁচিলগুলি চোখে দেখা কঠিন। যদি কোন মহিলার গর্ভাশয়ের সঙ্কীর্ন অংশে এই ওয়ার্ট/আঁচিল হয়ে থাকে, তাহলে এর ফলে অল্প স্বল্প রক্তপাত হতে পারে, অথবা কদাচিত্ রঙীন স্রাব বেরোতে পারে। এ সম্বন্ধে আরও জানবার জন্য জেনিটাল ওয়ার্টস দেখুন।

গনোরিয়া - এই রোগ বীজানু দ্বারা সংক্রমিত হয়। এটা হচ্ছে যৌন সংক্রামক রোগ। এই রোগের দ্বারা মহিলাদের জরায়ুর সঙ্কীর্ন অংশ, মুত্রনালী, মলদ্বার এবং গলা ইত্যাদিতে সংক্রমিত হতে পারে। এই রোগের সংস্পর্শে আসার ১থেকে ১৪ দিনের ভিতর এর লক্ষন দেখা যেতে পারে। এটা সম্ভব যে গনোরিয়ায় আক্রান্ত হলেও তার কোন লক্ষন ধরা পড়ে না। মেয়েদের থেকে পুরুষের মধ্যে এই লক্ষন বেশী দেখা যায়। এই সম্বন্ধে আরও জানার জন্য গনোরিয়া দেখুন।

গাট ইনফেকশ্‌ন/তন্ত্রের সংক্রামন - এই রোগ যৌনমিলনের সময় একজনের থেকে আরেকজনের মধ্যে যায়। সব থেকে সাধারন দুইটা সংক্রামনের নাম হল এমিয়োবিয়াসিস এবং জিয়ারডিয়াসিস। এই রোগের সংক্রামন জীবানুর/ব্যকটিরিয়ার দ্বারা হয়ে থাকে এবং সেগুলি যখন গাট বা তন্ত্রে পৌঁছায় তখন পেটখারাপ বা পেটে ব্যথা হতে পারে। কোন ব্যক্তির যখন এই রোগ থাকে তখন যৌনমিলনের সময় এই রোগ অন্য ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করতে পারে। বিশেষত: যদি মলের সংষ্পর্শে আসে, যেমন রিমিং এবং মলদ্বারের যৌন সঙ্গম দ্বারা। কনডোম, দাতের বাঁধ/ডেন্টাল ডেমস অথবা লেটেক্স গ্লাভস ব্যবহারের দ্বারা এই সংক্রামন বন্ধ করা যায়। যৌন খেলনাগুলি ব্যবহার করার পরে ভালভাবে পরিষ্কার করা এবং মলের সংষ্পর্শে আসার পর ভালভাবে হাত ধোওয়া উচিত। এই সংক্রামনগুলির বেশীরভাগই পেঠখারাপের ঔষধের চিকিত্সাতেই ভাল হয়ে যায় তবে এন্টিবায়োটিকসও ব্যবহার করা যায়।

হেপাটাইটিস্‌ - এই রোগ হলে লিভার ফুলে যায়। হেপাটাইটিস অনেক রকমের আছে। সবচাইতে সাধারন হেপাটাইটিস্‌কে বলা হয় এ(A), বি(B), সি(C) এই প্রত্যেকটা রোগের বীজ বিভিন্ন ভাবে কাজ করে। মদ খাওয়া বা ড্রাগ ব্যবহারের দ্বারা হেপাটাইটিস্‌ হতে পারে, তবে সাধারনত: হেপাটাইটিস্‌ রোগের বীজ থেকে এই রোগ হয়। হেপাটাইটিস সম্বন্ধে আরও জানুন।

মলাস্কাম - এটা হচ্ছে একটা চামড়ার রোগ। এই রোগ হয় মলাস্কাম কন্টাজিওসাম নামক রোগের বীজ/ভাইরাসের দ্বারা। এই রোগের ফলে চামড়ায় ছোট ছোট ফোলা দেখা দেয়। এই ফোলাগুলি দুই সপ্তাহ থেকে কয়েক বত্সর পর্যন্ত থাকতে পারে। মলাস্কামের এই ফোলাগুলি উরুতে, পাছাতে, জননেন্দ্রিয়ে এবং কখনও কখনও মুখেও হতে পারে। এই রোগজীবানু/ভাইরাস যৌনমিলনের সময়ের শরীরের যোগাযোগের এবং অন্যান্যভাবে চামড়ার যোগাযোগের দ্বারা একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে যেতে পারে। এই রোগ আটকানোর পথ হল কনডোম ব্যবহারের দ্বারা এবং যে ব্যক্তির এই রোগ আছে তার চিকিত্সা না হওয়া পর্যন্ত তার সঙ্গে যৌন মিলন না করা, যাতে তার শরীরের চামড়ার সঙ্গে কোন যোগাযোগ না হয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই মলাস্কামের কোন চিকিত্সার প্রয়োজন হয় না এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই রোগ ভাল হয়ে যায়। তবে, কখনও কখনও এই রোগ শরীরে থেকে যেতে পারে।

নন-স্পেসিফিক্‌ উরেত্রিটিস(এন এস ইউ/NSU) - এই রোগের ফলে পুরুষের মূত্রনালী ফুলে যায়। বিভিন্ন ধরনের সংক্রামনের জন্য এই ফোলার সৃষ্টি হতে পারে। এই রোগ সবচাইতে বেশী হয় ক্লামাডিয়ার সংক্রামনের ফলে। এন এস ইউ/NSU হয়ত একজন পুরুষ অথবা নারীর সঙ্গে সম্পর্ক আরম্ভ হওয়ার মাস অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে বহু বছর পরেও হতে পারে। এই রোগের লক্ষনের ভিতর থাকতে পারে, প্রস্রাব করার সময় ব্যথা বা জ্বালা করা। সকালে প্রস্রাব করার সময়ে লিঙ্গের মাথায় সাদা ঘনরস দেখা যেতে পারে। আপনার হয়ত মনে হতে পারে যেন আপনার ঘন ঘন প্রস্রাব করার প্রয়োজন। প্রায়সই কোনরকম লক্ষন দেখা যায় না। তবে এই এর মানে এই নয় যে আপনার থেকে আপনার সঙ্গীর ভিতর এই রোগের সংক্রামন হবে না। আরও খবরের জন্য এন এস ইউ/NSU দেখুন।

স্কেবিজ - এই রোগ হয় একধরনের পরজীবানু বা প্যারাসাইট দ্বারা। এইগুলি চামড়ার নীচে ঢুকে যায় এবং এর ফলে চুলকানি হয়। এই পরবীজানু বা প্যারাসাইটগুলি খুবই ছোট এবং এগুলিকে চোখে দেখা যায় না। বহু লোকেই জানেন না যে তাদের এই রোগ আছে। এই রোগের ফলে চুলকানি হয় এবং এটা আরম্ভ হয় সংক্রামনের ২ থেকে ৬ সপ্তাহের ভিতর। হাতের চামড়ার নীচে পাছায় বা জননেন্দ্রিয়তে লাল লাল লাইন হয়ত এই রোগের চিহ্ন হতে পারে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই যৌন মিলনের সময়ে শরীরের সংস্পর্শই হল এই রোগের কারণ। তবে এটাও সম্ভব যে, যে ব্যক্তির এই রোগ আছে, তার ব্যবহার করা টাওয়েল বা কাপড় চোপড় ব্যবহার করলেও এই রোগ হতে পারে। যদিও সাধারনভাবে এরকম হয় না। আপনার নিজের এই রোগ না হওয়া বন্ধ করার কোন কার্যকরী পথ নেই। তবে কাপড় চোপড় বিছানাপত্র, গরম জলে ধুঁয়ে অন্যদের এই রোগের আক্রমন থেকে বাঁচাতে পারেন। ফার্মেসী থেকে লোশন কিনে শরীরে লাগিয়ে এই পরজীবানু বা প্যারাসাইট গুলিকে মারতে পারেন।

সিফিলিস - এই রোগ ইউকে তে বেশী হয় না তবে কতকগুলি অন্যান্য দেশে এই রোগ হওয়া খুবই সাধারন। এই রোগ সাধারনত যৌনমিলনের ভিতর দিয়ে সংক্রামিত হয়। যে মায়ের এই রোগ আছে, তিনি গর্ভবতী অবস্থায় এই রোগ তার সন্তানের মধ্যে সংক্রামিত করতে পারেন। পুরুষ এবং নারীর যাদের এই রোগ আছে, তাদের এই রোগের লক্ষনগুলি একই রকম। এই লক্ষনগুলি ধরা খুবই কঠিন এবং সংক্রামিত ব্যক্তির সঙ্গে যৌনমিলনের পর এর লক্ষন প্রকাশ পেতে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। সিফিলিসের বিভিন্ন স্তর আছে। প্রথম এবং দ্বিতীয় স্তর হচ্ছে খুবই সংক্রামক। এ সম্বন্ধে আরও খবর জানবার জন্য সিফিলিস দেখুন।

থ্রাস - এটাকে ক্যানডিয়াসিসও বলা হয়। এটা হচ্ছে একরকমের ইষ্ট(yeast), যেটা চামড়ার উপরে বাস করে এবং সাধারনত শরীরের জীবানুগুলির/ব্যাকটেরিয়াগুলির দ্বারা সংযত থাকে। তবে যদি এই ইষ্ঠ পরিমানে বাড়ে, তাহলে পুরুষ এবং মহিলা দুইজনেরই শরীর ফুলে যেতে, ঘা হতে এবং চুলকানি এবং লিঙ্গ বা যোনী থেকে স্রাববের হতে পারে। যে মহিলার এই রোগ আছে তার যোনী থেকে ঘন সাদা স্রাব বেরোতে পারে এবং প্রস্রাব করার সময় ব্যথা হতে পারে। একজন পুরুষ যার এই রোগ আছে, তার হয়ত লিঙ্গ থেকে একই ধরনের ঘন স্রাব বেরোতে পারে এবং তার লিঙ্গের চামড়া পেছনে টানতে অসুবিধা হতে পারে। যে ব্যক্তির থ্রাস আছে, যৌনসঙ্গমের সময়ে তার শরীর থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে এই রোগের সংক্রামন হতে পারে। তবে আপনি যদি টাইট নাইলন টাইট অথবা লাইক্রা কাপড় পরেন অথবা কতকগুলি বিশেষ ধরনের এ়ন্টিবায়োটিকস খান তাহলেও এই রোগ হতে পারে। তবে কখনও কখনও এই রোগ হবার সঠিক কারন জানা যায় না। যৌনমিলনের সময় কনডোম ব্যবহার করলে এবং পুরুষ মানুষ তাদের লিঙ্গের চামড়ার নীচের অংশ ভাল করে ধুলে এই রোগের সংক্রামন বন্ধ করা যায়। এর চিকিত্সার ভিতরে আছে এন্টি ফাংগাল ঔষুধের ব্যবহার। থ্রাস ভাল হয়ে গেলেও, আরেকবার হতে পারে, বিশেষ করে মহিলাদের।

ট্রিকোমোনাস ভাজিনোসিস - এটাকে ট্রিচ ও বলা হয়। এই রোগ হয় একরকমের পরগাছা জীবানু দ্বারা যেটা মহিলাদের যোনীতে এবং পুরুষদের মুত্রনালীতে পাওয়া যায়। প্রায়সই এই রোগের কোন লক্ষন দেখা যায় না। যদি কোন লক্ষন দেখা যায় তাহলে সেগুলি হতে পারে পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সময় ব্যথা এবং স্রাব এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে স্রাব,যৌনমিলনের সময় এবং প্রস্রাবের সময় ব্যথা এবং যোনীদ্বারে ফোলা এবং ব্যথা। যেব্যক্তির এই রোগ আছে, তার সঙ্গে মৌখিকভাবে, যোনীতে অথবা মলদ্বারে যৌনমিলন করবার সময় অন্য ব্যক্তির মধ্যে এই রোগের সংক্রামন হতে পারে। এর এ়ন্টিবায়োটিকের দ্বারা চিকিত্সা করা হয় এবং এই সংক্রামন আবার হওয়ার কথা নয়।

এই তথ্যপত্রে যে সকল তথ্য দেওয়া হয়েছে সেগুলি কোন পেশাদারী বা ডাক্তারী উপদেশের বদলে নয়। এই সম্বন্ধে যদি আপনার কোন চিন্তা থাকে তাহলে ডাক্তার বা অন্য কোন স্বাস্থ্য কর্মীর সঙ্গে কথা বলুন।

This document was provided by AVERT, last updated July 26, 2005 . www.avert.org.uk