Skip Navigation | Accessibility

information, advice, guidance and learning materials in community languages

স্বাস্থ্যের ব্যপারে সচেতনতা
Health Awareness

স্বাস্থ্যের ব্যপারে সচেতনতার মানে হল, আপনার চেহারা ঠিক দেখাচ্ছে কি না এবং আপনি শারিরীকভাবে কি রকম বোধ করছেন, এবং কোন বোধটা আপনার শরীরের পক্ষে স্বাভাবিক বা শরীরে কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন কি না।

আপনার শরীরে রোগের কি কি লক্ষন দেখা দিতে পারে, সেইগুলি নজর করবার জন্য এই তথ্যপত্র হচ্ছে একটি নির্দেশিকা।

আপনার শরীরে হয়ত কোন পরিবর্তন হয়েছে বা বিশেষ লক্ষণ দেখা দিয়েছে, কিন্তু তার মানে নয় যে আপনার ক্যান্সার হয়েছে। খুব কম ক্ষেত্রেই সেগুলি ক্যান্সারের লক্ষণ। আসলে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এই লক্ষণ বা পরিবর্তনগুলি বেশী গুরুত্বপূর্ণ নয় এবং কতকগুলি লক্ষণ আস্তে আস্তে চলে যায়।

কিন্তু এই পরিবর্তন বা লক্ষণগুলি যদি দুই সপ্তাহেরও বেশীদিন ধরে চলতে থাকে এবং ভাল না হয় , তাহলে দয়া করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এইগুলি পরীক্ষা করানোর জন্য আপনার ডাক্তার/জিপির কাছে যান।

এর জন্য আপনার হয়ত কোন রকম ব্যথা বা যন্ত্রনা হয়নি, কিন্তু ডাক্তারের কাছে যেতে দেরী করবেন না, সাধারনতঃ ক্যান্সারের প্রথম দিকে কোন ব্যথা হয় না।

যখন ক্যান্সার প্রথম অবস্থাতেই ধরা পড়ে এবং তাড়াতাড়ি এর চিকিত্সা হয়, তখন বেশী সংখ্যক ভূক্তভোগিরাই বেঁচে থাকেন।

যদি নিম্নলিখিত বিষয়গুলি আপনার ক্ষেত্রে খাটে, তাহলে আপনার ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকতে পারে:

  • পরিবারে অনেকেরই ক্যান্সার হয়েছে।
  • হয়ত আগে তামাকজাত দ্রব্যাদি ব্যবহার করেছেন বা এখনও করছেন, যেমন সিগারেট অথবা হুক্কা ইত্যাদি।
  • নিয়মিতভাবে মাদকদ্রব্য পান করেন।
  • জীবনের বেশীরভাগ সময়েই অতিরিক্ত চর্বিজাত (ফ্যাট) খাবার খেয়েছেন।
  • অতিরিক্ত পরিমানে রেডিয়েশন(একটা রশ্মি যেটা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক) আপনার শরীরে প্রবেশ করেছে। যেমন এক্স রেইস (X-rays) এবং সূর্যের আলোতে বেশী সময় থাকবার জন্য আলট্রাভায়োলেট রেইস(সূর্যের রশ্মিগুলির মধ্যে যেটা অতিবেগুনি)। ট্রেনিং এর বিছানাগুলি অথবা সানল্যাম্প ব্যবহার করা। আসলে ট্রেনিং এর বিছানা থেকে আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মিগুলি সূর্যরশ্মি থেকে বেশী ক্ষতিকর কারণ সেগুলি তীব্র হয়।
  • চাকুরীর কারণে রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসা যেমন ধাতু অথবা পেসটিসাইড (কীটপতঙ্গ নাশক পদার্থ)। উদাহরণ হল- এ়সবেসটস, নিকেল ক্যাডমিয়াম, ইউরেনিয়াম, বেনজিন।

যে লক্ষণগুলির জন্য নজর রাখতে হবে

মল বা মুত্র ত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন: আপনি যদি ক্রমাগত কোস্টবদ্ধতা, আমাশা, মলের পরিমানের পরিবর্তন, মুত্রত্যাগের সময় কষ্ট, মুত্রের সঙ্গে রক্ত যাওয়া অথবা মুত্রত্যাগের কোন পরিবর্তনে ভোগেন।

শরীরে কোন জায়গায় অথবা মুখের ভিতরে কোন ঘা শুকাচ্ছে না: মুখে যদি সমানে কোনরকমের ঘা হতে থাকে বা না শুকায়, বিশেষতঃ আপনি যদি সিগারেট খান, তামাক চিবিয়ে খান অথবা হামেশাই মদ্যপান করেন। এ ছাড়াও কোন রকম দাগ অথবা গোটা যেগুলি অনেকদিন থেকে আছে, ঠোটে অথবা মুখের ভিতরে কোন ফাঁটা, ক্ষত অথবা গোটা যেগুলি শুকাচ্ছে না, অথবা মুখের ভেতরের চামড়ায় ক্রমাগত সাদা বা লাল দাগ হচ্ছে কি না সেটা লক্ষ্য করুন।

অস্বাভাবিকরক্তপাত অথবা ক্ষরণ: থুথুতে, মলে অথবা মুত্রে কোন রক্ত বের হচ্ছে কি না অথবা স্তনের বোটা থেকে কোন রক্ত বেরুচ্ছে কি না সেটা লক্ষ্য রাখুন।

শরীরেরকোন স্থানে অস্বাভাবিক গোটা অথবা ফোলা অথবা চামড়া পুরু হয়ে যাওয়া: স্তনে অন্ডকোষে এর নিম্ফ নোডে (গ্ল্যান্ড) কোন রকমের গোটা বেরুচ্ছে কি না লক্ষ্য করুন। এই গোটাগুলি গোল, একটু চুপসে যাওয়া (ডিম্পলিং/dimpling) পুরু ফোলা, রস বের হচ্ছে অথবা আকারে বা রঙের পরিবর্তন হচ্ছ কি না। বেশীরভাগ গোটাগুলিই ক্যান্সারযুক্ত নয়, সেগুলি সাধারন গোটা, যেমন সিস্ট (যে গোটা গুলির ভিতরে জলীয় পদার্থ থাকে)।

হজমেরগন্ডগোল অথবা গিলতে অসুবিধা: শক্ত খাবার অথবা পানীয় গিলতে কষ্ট বা ব্যথা হচ্ছে কি না সেটা লক্ষ্য করুন।

আচিলঅথবা তিলে সুস্পষ্ট পরিবর্তন কোন নুতন তিল, যেগুলি হল চামড়ার উপরে অথবা অন্যান্য শরীরের কোন অঙ্গের উপরে উঠে থাকে, এবং যে তিল আগের থেকেই ছিল সেগুলিতে কোন পরিবর্তন, যেমন; ফুলে যাওয়া, রঙের পরিবর্তন, আকারে বড় হয়ে যাওয়া, চুলকানি অথবা রক্তপাত হচ্ছে কি না, সেটা লক্ষ্য করুন।

খুসখুসী কাশি অথবা খুসখুসে গলার স্বর: যখন কাশেন তখন খুব ব্যথা হচ্ছে কি না অথবা থুথুর সঙ্গে কোন রক্ত বেরোচ্ছে কি না সেটা লক্ষ্য করুন।

অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে যাওয়া: যদি কোন কারণ ছাড়াই (অনিচ্ছাকৃতভাবে) ১০ পাউন্ডেরও বেশী ওজন কমে যায়, তাহলে সেটার প্রতি নজর রাখুন।

জ্বরহওয়া অথবা রাত্রে ঘাম হওয়া: শরীরের তাপ যদি ৩৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের উপরে উঠে এবং আপনার শরীর হঠাত্ অস্বাভাবিক গরম হয়ে যায় অথবা রোগ যেমন; ঠান্ডা লাগা/ফ্লু প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যাচ্ছে কি না সেটার প্রতি লক্ষ্য রাখুন।

ক্লান্তি: ক্রমাগতভাবে দুর্বলতা এবং মানসিক ক্লান্তি হচ্ছে কি না, সেটার প্রতি লক্ষ্য রাখুন।

ব্যথা: হাঁড়ে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে তীব্র ব্যথা হচ্ছে কি না সেটার প্রতি লক্ষ্য রাখুন।

চামড়ায়পরিবর্তন: চামড়ার পরিবর্তন যেমন, রং গাড়, হলুদ বা লাল হয়ে যাচ্ছে কি না অথবা চুলকাচ্ছে কি না, তার উপর নজর রাখুন।

মাথাব্যথা: সবসময় মাথাব্যথা, এর ভিতরে থাকতে পারে অস্বাভাকির ধরনের বমি এবং ফার্মেসি থেকে কেনা ঔষধে কোন উপকার হচ্ছে না। এরকম হচ্ছে কি না তার প্রতি লক্ষ্য রাখুন।

ক্যান্সার সম্বন্ধে প্রকৃত তথ্য

  • বর্তমানে আগের থেকে অনেক বেশী ব্যক্তিরা ক্যান্সার হওয়ার পরেও বেঁচে আছেন। এর কারণ হল প্রথম অবস্থাতেই রোগ সনাক্তকরন এবং ভাল চিকিত্সা।
  • কিসের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে জানা থাকলে আপনার প্রথম দিকেই ক্যান্সার সনাক্ত করার বেশী সুযোগ।
  • এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনি আপনার নিজের শরীরটা ভালভাবে জানেন, যে কোন রকম পরিবর্তন লক্ষ্য করেন এবং যদি ২ সপ্তাহের বেশী এই লক্ষণগুলি থাকে তাহলে ডাক্তর/জিপির কাছে গিয়ে পরীক্ষা করান।
  • প্রতি ৩ জন ব্যক্তির মধ্যে একজনের জীবনের কোন না কোন সময়ে ক্যান্সার ধরা পড়ে।
  • ক্যান্সার বেশীরভাগ সময়েই ৬০ বত্সরের বেশী বয়সের ব্যক্তিদের হয়ে থাকে, তবে সকলের নয়। কতকগুলি ক্যান্সার, যেমন অন্ডকোষের (টেস্টিকল) ক্যান্সার বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ৩৫ বত্সর কম বয়সের ব্যক্তিদেরই হয়ে থাকে। ১৪ বত্সর বয়সের কম বাচ্চাদেরও হতে পারে।
  • সর্ব্বমোট ২০০ র ও বেশী ধরনের ক্যান্সার আছে এবং সেগুলির বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

উপদেশ

  • ধুমপান করবেন না।
  • বুঝে সুজে মদ্যপান করবেন।
  • প্রচুর পরিমানে ফল তরিতরকারী এবং হাই-ফাইবার জাতীয় খাবার খাবেন।
  • কর্মশীল থাকুন। শরীরের ওজন যাতে না বাড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
  • সূর্যের আলো থেকে নিজেকে রক্ষা করুন। সুর্যের আলোয় শরীর পোড়াবেন না।
  • রাসায়নিক পদার্থের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করুন। স্বাস্থ্য এবং সাবধানতার (হেল্থ এন্ড সেফটি) পদ্ধতি মেনে চলবেন।
  • নিজের শরীরের উপরে নজর রাখবেন। শারীরিক পরিবর্তনগুলি সম্বন্ধে সচেতন থাকবেন
  • নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা করাবেন।

আরও উপদেশ, তথ্য এবং সাহায্যের জন্য নিম্নলিখিতগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

এন এইচ এস ডাইরেক্ট (N H S) ডাইরেক্ট 0845 46 47

২৪ ঘন্টা খোলা থাকে

www.nhsdirect.co.uk

ডিজিটাল টি ভি

দি আফিয়া ট্রাস্ট

দি আফিয়া ট্রাস্ট হচ্ছে একটি জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে “বিভিন্ন জাতীয় গোষ্ঠির মধ্যে স্বাস্থ্য এবং সামাজিক যত্নের বৈষম্য কমানো”।

এই প্রজেক্টেগুলির ভিতরে আছে:

কালো এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলি (ব্ল্যাক এন্ড মাইনরিটি এথনিক (BME) যত্ন নেওয়ার ব্যক্তিদের /কেয়ারারদের নেট ওয়ার্ক, কালো এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলি (ব্ল্যাক এন্ড মাইনরিটি এথনিক) মানসিক স্বাস্থ্য, ক্যান্সার সম্বন্ধে তথ্য প্রদানের ব্যবস্থা।

এই সংঘ, সরকারী সংস্থাগুলি, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক যত্ন প্রদানকারী নেওয়ার সংস্থাগুলি এবং স্বেচ্ছাসেবী বিভাগের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে অংশীদার হিসাবে কাজ করে থাকে।

ক্যান্সার ইক্যুয়ালিটি, ক্যান্সার সম্বন্ধে তথ্য বের করা এর সম্বন্ধে সচেতনতা জাগানো, এবং কিভাবে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমানো যায়, কালো এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংস্থাগুলির সঙ্গে সে সম্বন্ধে কাজ করে থাকে। যে সকল সংস্থাগুলি “কালো এবং সংখ্যালঘুসম্প্রদায়ের লোকেদের জন্য ক্যান্সারের সেবা ব্যবস্থার উন্নতিকরনের প্রয়োজনকে লক্ষনীয় (hightlight) করবার জন্য কাজ করে, এই সংঘ তাদের সঙ্গে অংশীদার হিসাবে কাজ করে থাকে।

“হেল্থ এ়ওয়ারনেস (স্বাস্থ্য সচেতনতা)” তথ্যপত্রটি প্রথমে স্বাস্থ্য বিভাগ (ডিপার্টমেন্ট অফ হেল্থ) সহায়তায় আফিয়া ট্রাস্টের জন্য রচনা করা হয়েছিল।

The Afiya Trust, BME Cancer Awarness 27-29 Vauxhall Grove, London SW8 1SY

টেলিফোন: 020 7582 0400 ফ্যাক্স 020 7582 2552

http://www.afiya-trust.org

This document was provided by The Afiya trust, http://www.afiya-trust.org